ছাতক-দোয়ারাবাজারে লিচুর বাম্পার ফলন, চাষীদের মুখে হাসি
- আপলোড সময় : ১০-০৫-২০২৫ ১০:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১০-০৫-২০২৫ ১০:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন

মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী ::
ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ডালে ডালে ঝুলছে রসালো লিচু। এবারও দেশীয় লিচুর বা¤পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষীরা। লিচুরগ্রাম ছাতকের মানিকপুর ও দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের লামাসানিয়া, পরশ্বেরীপুর, বীরসিংহ, সুরমা ইউনিয়নের টেংরাটিলা, আলীপুরের প্রত্যন্ত এলাকায় ডালে ডালে রসালো লিচুর সমাহার। এখনো পাকা লিচু পুরোদমে বাজারে আসেনি।
এদিকে, চাষীরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন লিচুর বাগান। অন্যান্য বছর এই মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে ছাতক দোয়ারাবাজারের বিভিন্ন হাট-বাজারে লাখ লাখ টাকার লিচু বিক্রি হয়েছে। এবার একটু দেরীতে বাজারে আসতে শুরু করেছে এই অঞ্চলের রসালো লিচু। এবছর ভালো ফলন হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। লাভজনক লিচু চাষে জড়িয়ে থাকা ওইসব এলাকার অন্তত শতাধিক চাষি এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন।
ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের মানিকপুর, গোদাবাড়ি, চানপুর, কচুদাইড়, বড়গল্লা, রাজারগাঁওসহ কয়েকটি গ্রামের বাড়িতে চোখ রাখলেই দেখা যায় গাছে গাছে ঝুলে থাকা লিচুর অপরূপ দৃশ্য। প্রতি বছর ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার লিচু চাষিরা অন্তত কোটি টাকার লিচু বিক্রি করে থাকেন।
ছাতক থেকে ৩ কিলোমিটার পথ গেলেই নোয়ারাই ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজার। গ্রামীণ এ মেঠোপথ ধরে একটু এগিয়ে গেলে চোখে পড়বে মানিকপুর ও লামাসানিয়া গ্রাম। যেখানে প্রায় প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় ছোট-বড় লিচুর বাগান রয়েছে। প্রতিটি লিচু গাছে এখন শোভা পাচ্ছে দেশি জাতের রসালো লিচু। জমিদার আমল থেকে মানিকপুর ও আশপাশের গ্রামের টিলায় লিচু চাষাবাদ শুরু হয়। এ দৃশ্য দেখার জন্য ছাতক-দোয়ারা তথা সিলেট-সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা এখানে ভিড় জমান।
লিচু বাগানগুলোতে বাদুড়ের উপদ্রব ঠেকাতে ইতোমধ্যে সরকারিভাবে সোলার সিস্টেম প্রদান করা হয়েছে। স্থানীয় লিচু চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্রিটিশ জমিদার আমলে গৌরীপুরের জমিদার হরিপদ রায় চৌধুরী ও তার ভাই শান্তি পদ রায় চৌধুরীর কাচারী বাড়ি ছিল মানিকপুর গ্রামে। জমিদারের লোকজন পরীক্ষামূলকভাবে ৩০টি লিচু গাছ রোপণ করেন।
মানিকপুরে শতবর্ষী এসব লিচু গাছ এখনোও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এরই ধারাবাহিকতায় নোয়ারাই ইউনিয়নের মানিকপুরসহ ৮টি গ্রাম ও ইসলামপুর ইউনিয়নের হাদা-চানপুর ও কুমারদানী গ্রামে নওসাদ মিয়ার বাগানবাড়িতে এবং দোয়ারাবাজার উপজেলার টেংরাটিলা, লামাসানিয়া, লাস্তবেরগাঁওয়ে বিস্তার লাভ করে। বর্তমানে প্রতিটি গ্রামের নারী-পুরুষ সবাই লিচু বাজারজাতকরণে ব্যস্ত সময় পার করছে। এমন কোনো বাড়ি নেই যার আঙিনায় ৪-৫টি লিচু গাছ নেই।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ